কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো এমন ধরনের শিক্ষালয় যেখানে শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট পেশা বা বৃত্তিমূলক কাজের জন্য দক্ষ ও হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।এই ধরনের প্রতিষ্ঠানে সাধারণত উৎপাদন, স্বাস্থ্যসেবা, তথ্যপ্রযুক্তি, এবং কৃষি বিষয়ক নানা ধরনের প্রশিক্ষণ ও ডিপ্লোমা কোর্স করানো হয়, যা শিক্ষার্থীদের কর্মজীবনে প্রবেশের জন্য প্রস্তুত করে তোলে। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এই প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালনা ও তাদের কারিকুলাম নিয়ন্ত্রণ করে।
কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ধরণ ও স্তর:
সার্টিফিকেট স্তর:এই স্তরে বিভিন্ন ধরনের স্বল্পমেয়াদী ও দক্ষতামূলক সার্টিফিকেট কোর্স করানো হয়, যা শিক্ষার্থীদের দ্রুত একটি নির্দিষ্ট পেশায় যুক্ত হতে সাহায্য করে।
ডিপ্লোমা স্তর:এখানে চার বছর মেয়াদের ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং, টেক্সটাইল, কৃষি, এবং অন্যান্য টেকনিক্যাল বিষয়ে ডিপ্লোমা কোর্স করানো হয়।
ডিগ্রী স্তর:কিছু প্রতিষ্ঠানে কারিগরি বিষয়ের উপর ডিগ্রী কোর্সও প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান:
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর:শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন এই অধিদপ্তর কারিগরি শিক্ষার সম্প্রসারণ এবং বিভিন্ন সরকারি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড:এটি কারিগরি শিক্ষা কার্যক্রমের পাঠ্যক্রম প্রণয়ন, পরীক্ষা গ্রহণ এবং সনদপত্র প্রদানের দায়িত্ব পালন করে।
প্রতিষ্ঠান:সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, এগ্রিকালচার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (ATI) এবং অন্যান্য বিশেষায়িত কারিগরি ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে রয়েছে।
সুবিধা ও উদ্দেশ্য:
দক্ষ জনশক্তি তৈরি:কারিগরি শিক্ষা দক্ষ ও কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন জনশক্তি তৈরিতে সাহায্য করে, যা দেশের শিল্প ও অর্থনীতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
কর্মসংস্থান বৃদ্ধি:শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট পেশার জন্য প্রস্তুত করার মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পায়।
সমাজের উন্নয়ন:কারিগরি শিক্ষা সমাজের দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিকল্প হিসেবে কাজ করে, যা তাদের সমাজে অন্তর্ভুক্ত হতে সাহায্য করে।
=০৫ নং ফুলবাড়ীয়া ইউনিয়নে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অবস্থিত নাই =